বাংলা ভাষা বিসিএস পরীক্ষার মানবন্টন প্রিলিমিনারি
বিসিএস প্রিলিমিনারিতে
(BCS Preliminary) বাংলা ভাষা অর্থাৎ ব্যাকরণ থেকে প্রশ্ন হয় ১৫টি হয়ে থাকে । এর জন্য নিচের সিলেবাস নির্দিষ্ট থাকলেও এর বাইরে থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। তাই ভালো প্রস্তুতির জন্য ভিালোভাবে পড়া শোনা করা প্রয়োজন।
সিলেবাসে যা যা আছেঃ
প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি, পরিভাষা, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি, সমাস।
সিলেবাস বহির্ভূতঃ
কারক,
যুক্তবর্ণ,
ধাতু,
ভাষা ও ব্যাকরণ,
উপসর্গ,
শব্দগঠন,
ষ-ত্ব বিধান,
ণ-ত্ব বিধান,
বাচ্য,
দ্বিরুক্ত শব্দ
যতি বা ছেদ-চিহ্ন
সমোচ্চারিত শব্দ
বাগধারা
বাক্য সংকোচন
প্রবাদ-প্রবচন
বাংলা সাহিত্য
প্রাচীন যুগঃ
প্রাচীন যুগের ব্যাপ্তিকাল ৬৫০-১২০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। এ সময়ের এক মাত্র সাহিত্য নিদর্শন ‘চর্যাপদ’। যাতে বৌদ্ধ সাধকগণ তাদের সাধন পদ্ধতি গানের আকারে লিপিবদ্ধ করেছেন। এছাড়া পাওয়া যায় রূপকথা, ডাক ও খনার বচন। যাতে মানব জীবনের অনেক দিকের কথা ছন্দের আকারে বলা হয়েছে।
চর্যাপদ
চর্যাপদ আবিষ্কার
চর্যাপদের রচনাকাল
চর্যাপদে গানের সংখ্যা
শব্দকোষ-চর্যাপদ
চর্যাসংগীত
চর্যাপদের ভাষা
চর্যাপদের ভাষা, ধ্বনি ও রূপতত্ত্ব
চর্যাপদের ছন্দ ও অলংকার
চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব
চর্যাপদ ও বাঙালি জীবন
চর্যাপদে নারীদের অবস্থান
চর্যাপদের কবিগণ
সরহপা ও জয়নন্দী
কাহ্নপা
কুক্কুরীপা
চাটিল্লপা
ঢেণ্ডণপা
ধর্ম পা ও তাড়কপা
ভুসুকু পা
মৎস্যেন্দ্রনাথ ও বিরুআপা
লুই পা
শবর পা
ডাক ও খনার বচন।
মধ্যযুগ
১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ারউদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজীর বঙ্গ বিজয়কে মনে রেখে মধ্যযুগের ব্যাপ্তিকাল ধরা হয় ১২০০-১৮০০ সাল পর্যন্ত। ১২০০-১৩৫০ সালের মধ্যে বিশেষ কোণ সাহিত্য কর্মের সৃষ্টি না হওয়ায় এ সময়কে অনেক গবেষক বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বলতে চান। ছয়শত বছরের এ দীর্ঘ সময়ে মধ্যযুগে অনেক সাহিত্য কর্মের সৃষ্টি হয়। মধ্যযুগের প্রথম নির্দশন বড়ু চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য। এটি চৌদ্দ শতকের দ্বিতায়ার্ধে রচিত। মধ্যযুগের সাহিত্য কর্মের মধ্যে প্রধান চারটি ধারা যথাক্রমে বেষ্ণব পদাবলি, মঙ্গল কাব্য, রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান।
বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ
গীতগোবিন্দ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য
বৈষ্ণব পদাবলী
মঙ্গলকাব্য
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
চন্দ্রাবতী
মনসামঙ্গল কাব্য
চণ্ডীমঙ্গল কাব্য
কৃষ্ণচন্দ্র রায়
ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর
অন্নদামঙ্গল কাব্য
ধর্মমঙ্গল কাব্য
শাহ বারিদ খান / সাবিরিদ খান
কলিকামঙ্গল কাব্য
গঙ্গামঙ্গল কাব্যঃ দ্বিজমাধব
গৌরীমঙ্গলঃ কবিচন্দ্র মিশ্র
জীবনী সাহিত্য
শ্রী চৈতন্যদেব
অনুবাদ সাহিত্য
রোমান্সধর্মী প্রণয়োপাখ্যান
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
শাহ মুহম্মদ সগীর
ইউসুফ জোলেখা কাব্য
দৌলত উজির বাহারাম খান
লাইলি মজনু কাব্য
মুহম্মদ কবীর
মধুমালতী কাব্য
শাহ বারিদ খান / সাবিরিদ খান
আব্দুল হাকিম
সৈয়দ সুলতান
নওয়াজিস খান
গুলে বকাওলী
রোসাং রাজসভায় বাংলা সাহিত্য
দৌলত কাজী
সতীময়না-লোরচন্দ্রানী
কোরেশী মাগন ঠাকুর
পদ্মাবতী
আলাওল
দোভাষী পুঁথি
শ্যামাসংগীত
রামপ্রসাদ সেন
শেখ ফয়জুল্লাহ
গোরক্ষবিজয়
মর্সিয়া সাহিত্য
শেখ ফয়জুল্লাহ
শায়ের ও কবিওয়ালা
কবিগান
শায়ের
পুঁথি সাহিত্য
লোকসাহিত্য
গীতিকা
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক
প্রাচীন ও মধ্যযুগের কয়েকটি বিখ্যাত গ্রন্থ
শ্রীকৃষ্ণবিজয়
অমর কোষ
অর্থশাস্ত্র
শব্দকল্পদ্রুম
রিয়াজ-উস-সালাতীন
আগম ও জ্ঞানসাগর
রামচরিতম
আইন-ই-আকবরী
পদ্মাবতী
চন্দ্রাবতী
কাব্যমীমাংসা
সংস্কৃত ভাষা থেকে অনুবাদ
কৃত্তিবাস ওঝার শ্রীরাম পাঁচালি
মালাধর বসুর শ্রীকৃষ্ণ বিজয়
আধুনিক যুগ
বাংলা সাহিত্যর আধুনিক যুগের শুরু ১৮০০ সালে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। আধুনিক যুগের সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এ সকল সাহিত্যে মানবতাবোধ, যুক্তিবোধ, সমাজচেতনা, স্বদেশপ্রেম, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ, রোমান্টিকতা ইত্যাদি। আলোচনার সুবিধার্থে আধুনিক যুগের সাহিত্যকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিতে পারি।
যেমন
আধুনিক যুগের প্রথম পর্যায়ঃ এর ব্যাপ্তিকাল ১৮০০ থেকে ১৮৬০ সাল অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের(১৮৬১) পূর্ব পর্যন্ত। এ সময়ে বাংলা গদ্যের উদ্ভব ও বিকাশ সাধিত হয়।
আধুনিক যুগের দ্বিতীয় পর্যায়ঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের(১৮৬১) পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত সৃষ্ট সকল সাহিত্য আধুনিক যুগের দ্বিতীয় পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
অথবা অন্যভাবে ভাগ করতে চাইলে
রবীন্দ্র পর্বের সাহিত্য
রবীন্দ্র পরবর্তী সাহিত্য
বাংলাদেশের সাহিত্য
৪৭ এ দেশভাগ, ৭১ স্বাধীনতা লাভ তারপর থেকে “একলা চলরে”। এই চলার পথে বাংলাদেশের সাহিত্য মুখরিত হয়েছে বহু শক্তিমান লেখকের পদচারনায়। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের দাঁড় টেনে নিয়ে গেছেন শামসুর রাহমান, হুমায়ুন আজাদ, হুমায়ুন আহমেদের মতো বহুমাত্রিক লেখকেরা। শামসুর রাহমান তার লেখনীতে তুলে এনেছেন আধুনিকতার ছন্দ। হুমায়ুন আজাদের শব্দ চয়ন, উপমার ঢঙ বাংলা ভাষাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আর সহজ-সাবলীল শব্দ, অসাধারণ গল্প, বর্ণনার জাদুকরী শক্তি হুমায়ুন আহমেদকে নিয়ে গেছে পাঠকের খুব কাছে। তার লেখা খুব সহজেই হৃদয়ের অলিগলিতে প্রবেশ করে। এই সকল নিয়ে থাকছে বাংলাদেশের সাহিত্য নামে একটি এক্সক্লুসিভ পাতা।
বিবিধ
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক সাহিত্য
উপন্যাসে মিথ-ঐতিহ্যের ব্যবহার
বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা
ভ্রমণ কাহিনী
রম্য রচনা
আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসমূলক গ্রন্থ
উপাধি ও ছদ্মনাম
সাহিত্যিকদের প্রথম সাহিত্য কর্ম
বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য চরিত্র
পত্রপত্রিকা ও সম্পাদক
উক্তি বা উদ্ধৃতি
সাহিত্য সম্পর্কিত কিছু টার্মস
Reviewed by Joynal Abdin
on
Monday, December 14, 2020
Rating:

No comments: